তবে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি আর্জেন্টিনার। ২৯তম মিনিটে বাঁ থেকে মার্কোস আকুনার ক্রসে ডি-বক্সে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের জোরাল শটে গোলটি করেন মার্টিনেজ। চার দিন আগে চিলির বিপক্ষেও জালের দেখা পেয়েছিলেন ইন্টার মিলান ফরোয়ার্ড।
পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত। তবে ডি মারিয়ার দুর্দান্ত ফ্রি কিক বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান গোলরক্ষক।
প্রথমার্ধের অন্তিম মুহূর্তে সমতায় ফেরার সুযোগ পায় কলম্বিয়া। তবে মিগুয়েল বোর্জার শট ফিরিয়ে দেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। তারপরও সুযোগ ছিল, কিন্তু দ্বিতীয় দফায় লুইস দিয়াসের শট রক্ষণে প্রতিহত হয়।
৬৪তম মিনিটে আবারো দূর থেকে চেষ্টা করেন ডি মারিয়া। তার বুলেট গতির শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান কামিলো ভারগাস।
ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে ডি মারিয়াকে তুলে পাউলো দিবালাকে নামান স্কালোনি।
৭৪তম মিনিটে আর্জেন্টিনার জিওভানি লো সেলসোর ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেয়া শট ক্রসবারের একটু ওপর দিয়ে যায়। শেষ দিকে নিজেদের ভুলে গোল খেতে বসেছিল আর্জেন্টিনা। প্রতিপক্ষের একটি শট গোলমুখে রুখতে গিয়ে ঠিকমতো পায়ে লাগাতে পারেননি ডিফেন্ডার লিসান্দ্রো মার্তিনেস। বল ভেতরে ঢুকতে যাচ্ছিল, গোললাইন থেকে কোনোমতে আটকান গোলরক্ষক। তবে এরপর অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত অপরাজিত আর্জেন্টিনা ১৫ ম্যাচে ১০ জয় ও ৫ ড্রয়ে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে দুই নম্বরে। ১৫ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ব্রাজিল।