কবি নূর ই ছাত্তার কবিতা, প্রবন্ধ, গবেষণা, জীবনীগ্রন্থ, কাব্যনাট্য ও গীতিকবিতা—সব ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ষাটের দশকের উত্তাল সময়ে তাঁর কাব্যভুবনে পদার্পণ, পরে হয়ে উঠেছিলেন সাহিত্যপ্রেমীদের প্রেরণার উৎস। তাঁর জীবন ছিল সংগ্রাম ও সাধনার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। তিনি তাঁর লেখার মাধ্যমে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষকে ছুঁয়ে গেছেন এবং তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন। তাঁর সাহিত্যকর্ম শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট সময়ের প্রতিচ্ছবি নয়, বরং এটি একটি সর্বজনীন আবেদন, যা আগামী প্রজন্মের কাছেও প্রাসঙ্গিক থাকবে।
কেমুসাসের জীবন সদস্য ষাটের দশকের কবি নূর ই ছাত্তার স্মরণে আলোচনা ও কেমুসাসের ১২৫২তম নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট লেখক কবি ফরীদ আহমদ রেজা উপরোক্ত কথা বলেন।
মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে কেমুসাসের সাবেক সভাপতি রাগিব হোসেন চৌধুরী বলেন, নূর ই ছাত্তার ছিলেন অসাধারণ প্রতিভাবান এক কবি। তাঁর লেখার মধ্য দিয়েই অগণিত পাঠকের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন তিনি। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থসমুহ এবং অপ্রকাশিত লেখাগুলোই হবে আগামী প্রজন্মের সম্পদ।
৩০ অক্টোবর ২০২৫ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর দরগাহ গেইটস্থ ঐতিহ্যবাহী সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাহিত্য আসর কক্ষে সংসদের সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক প্রভাষক-ছড়াকার কামরুল আলমের সভাপতিত্বে এবং তরুণ কবি এস এম ফাহিমের সঞ্চালনায় আসরে নূর ই ছাত্তারকে নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি ও সাংবাদিক আব্দুর রহমান জামি। আলোচনায় অংশ নেন কেমুসাসের সহসভাপতি রুহুল ফারুক, সাধারণ সম্পাদক সেলিম আউয়াল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী ও কার্যকরী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ ফয়জুল হক, কবি নূর ই ছাত্তারের পরিবারের পক্ষ থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করেন জালালাবাদ গ্যাসের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. উস্তার আলী ও আবু তাহের ইমন।
সাহিত্য আসরের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ছড়াকার মো. আব্দুল মুমিন। আসরে লেখা পাঠে অংশ নেন ও উপস্থিত ছিলেন সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কবি মুহিত চৌধুরী, দৈনিক সুরমা মেইল এর সাহিত্য সম্পাদক মোয়াজ আফসার, কবি আনোয়ার হোসেন মিছবাহ, শামসীর হারুনুর রশীদ, লোকমান হাফিজ, মুক্তার আহমদ, হুসাইন হামিদ, আদীল আনোয়ার, ফখরুজ্জামান, আব্দুল মুহিত তাহরিম, ইনকিয়াদ আহমদ তাসিন, মো. আব্দুল মুমিন, মাহবুব হাসান, সোহাগ মিয়া, সৈয়দ মুহিবুর রহমান মিছলু, এম এ ওয়াহিদ চৌধুরী, জাকারিয়া মাহবুব, মোখলেছুজ্জামান, হাফিজ নুরুল ইসলাম রাফি, কামাল আহমদ ও বাহাউদ্দিন বাহার, দিদার আহমদ প্রমুখ। আসরে গান পরিবেশন করেন কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেল ও লিলু মিয়া। সেরালেখক মনোনীত হন শামসীর হারুনুর রশীদ।