বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে ৩১ মে বিশেষ একটি দিন। এদিন শক্তিশালী দল পাকিস্তানকে প্রথম পরাজিত করে বাংলাদেশ। তাও আবার বিশ্বকাপের মতো ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে।
সেই ঐতিহাসিক জয়ের মূল নায়ক ছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। ব্যাট হাতে ৩৪ বলে ২৭ রানের পর বল হাতে ৩১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন তিনি।
প্রথম ওভারেই শহীদ আফ্রিদিকে আউট করে পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামানোর বার্তা দেন সুজন। পরে আরও ২ উইকেট নেন।
২২ বছর আগের সেই স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে সুজন বলেন, ’সেদিন আমরা এতটাই খুশি হয়েছিলাম যে, ম্যাচশেষে ড্রেসিংরুমে ফিরে তো মনে হয়েছে, সবাই পাগল হয়ে গেছি!’
বাংলাদেশ দলের এই সাবেক অধিনায়ক বলেন, খুশিতে পাগল হওয়ারই তো কথা। পাকিস্তানকে হারাব, এটা তো কেউ চিন্তাও করেনি! ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, শোয়েব আখতার, সাকলাইন মুস্তাকের মতো বড় বড় তারকার বিপক্ষে খেলে হারিয়েছি তাদের। ওই সময় বোলিং আক্রমণের দিক থেকে পাকিস্তান ছিল অপ্রতিরোধ্য। তা ছাড়া কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশকে ওই প্রথম হারাই আমরা। আমাদের টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পেছনেও সেই জয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সব মিলিয়ে ৩১ মের সেই দিনটি বাংলাদেশের জন্য বিরাট এক পাওয়া।
বিসিবির এই পরিচালক বলেন, ’শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, মেহরাব হোসেন অপি খুবই ভালো ওপেনিং করেছিল সেদিন। আকরাম ভাই দারুণ একটা ইনিংস খেলেন। আমি বল হাতে সুইং পাচ্ছিলাম। ইংল্যান্ডের উইকেটে বল সুইং করে। একজন সুইং বোলার হিসেবে সেই সুযোগটা বেশ কাজে লাগিয়েছি আমি। আমরা আসলে সেদিন ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলেছিলাম। আমাদের হারানোর কিছু ছিল না। সবাই দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিল।’
এসএসডিসি/বিএম-১০০৪