গত ১০ বছরের মধ্য এটি বিসিবির তৃতীয় সাধারণ সভা। ২০১৭ সালের পর এই প্রথম এজিএম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সভায় গত তিন অর্থবছরের আয়-ব্যয়সংক্রান্ত নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুমোদন দেওয়া হবে।
গত তিন অর্থ বছরে বিসিবি খরচ করেছে প্রায় ৬৯৩ কোটি টাকা। যেখানে ২০২০-২১ অর্থ বছরে খরচ হয়ে যাওয়া ২০৩ কোটি ৬৮ লাখ ১১ হাজার ৭২৬ টাকা এই সুযোগে অনুমোদন করে নিতে পারলে সেটি হবে ৮৯৬ কোটি ৫৭ লাখ ৩০ হাজার ২০৬ টাকা। এবারের বার্ষিক সভায় যে বিসিবির ১৬৬ কাউন্সিলরের প্রত্যেকেই উপহার হিসেবে পাবেন একটি করে ল্যাপটপ।
জানা গেছে, বার্ষিক সভা উপলক্ষে এক কোটি ৪০ লাখ টাকার ওপরে খরচ করে ১৮০টি ল্যাপটপ কেনা হয়েছে। এ ছাড়া সভায় যোগ দেওয়া কাউন্সিলরদের প্রত্যেককে দেওয়া হবে এক লাখ টাকা করে।
এদিকে গঠনতন্ত্র মেনে নিয়মিত আয়োজন না করতে পারার পেছনে করোনা মহামারি আর ব্যস্ত সূচিকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। তবে গত দুবারের মতো অক্টোবরের নির্বাচনকে মাথায় রেখেই এজিএম করছে বোর্ড, মনে করছেন সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিকরা।
২০০৬-০৭ থেকে শুরু করে ২০১৯-২০ এই ১৪ অর্থবছরে বিসিবির বার্ষিক সভা হয়েছে মাত্র তিনবার। সর্বশেষ এজিএম হয়েছে ২০১৭ সালের ২ অক্টোবর। তার আগেরটি ২০১২ সালের ১ মার্চ। তার আগের এজিএম হয়েছে ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর।
জানা গেছে, বাংলাদেশের ক্রীড়া ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই এজিএম-এ গঠনতন্ত্রে কোনো সংশোধনী আসছে না। থাকছে না এজিএমের সঙ্গে ইজিএম আয়োজনের ঘোষণা।এসএসডিসি/বিএম