সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ। তবে প্রতিক্ষিত এ নির্বাচনে শুরু থেকেই ভোটার উপস্থিতি কম।
দক্ষিণ সুরমা, বালাগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে ভোটার উপস্থিতির হতাশাজনক চিত্র দেখা যায়। প্রায় ভোটকেন্দ্রই ফাঁকা। তবে বেলা বাড়লে ভোটার বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন।
সকালে উপজেলার কুচাই ইউনিয়নের জান আলী শাহ প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোট দিতে এসেছেন হাতেগোনা কয়েকজন। একই চিত্র ছিল উপজেলার কদমতলী এলাকার ইসরাব আলী হাই স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে এবং উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের হ্বাজী ইসরাইল আলী সরকারি প্রাথমিক কেন্দ্রে।
এসব কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার বলেন, ‘সকালে বৃষ্টি হওয়ায় ভোটার কিছুটা কম। তবে বেলা বাড়ার সাথে ভোটারের উপস্থিতি বাড়তে পারে।’
প্রধমবারের মতো ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হওয়ায় কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়েন ভোটাররা।
নতুন এ ভোট পদ্ধতি সম্পর্কে তেমন ধারণা ছিল না ভোটারদের। ইভিএমে ভোট সম্পর্কে ধারণা দিতে গত ২৬ জুলাই তিন উপজেলায় মক ভোটিং হয়েছিল, কিন্তু তাতে ভোটারদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
সিলেট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোট হচ্ছে। এখনও কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তাছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে মাঠে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে, কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে না পেরে ফিরে গেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) আঙ্গুলের ছাপ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে তিনি ভোট দিতে পারেননি।
তবে নির্বাচন কর্মকর্তারা ঘন্টা দু’য়েক পর তাকে আবারও ভোট দিতে কেন্দ্রে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন।
তবে, সকাল সোয়া ৮টায় নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন আওয়ামীলীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব। তিনি তাঁর নিজ ভোটকেন্দ্র দক্ষিণ সুরমার কামালবাজারের ধরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন।