সোমবার রাতভর সিলেট সদর থানা পুলিশ ও র‍্যাবের যৌথ অভিযানে সিলেটর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ বিপুল পরিমাণ মাদক ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছে। এসময় গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মনছুর আহমেদে ও জেলা আওয়ামীলীগ নেতা মনজুর শাফি চৌধুরীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এ সময় সিলেট সদর থানার ওসি জনাব বেলায়েত হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, আমরা সংবাদপত্র ও গোপন সংবাদের উপর ভিত্তি করে গোলাপগঞ্জ সদর থানা ও সিলেট জেলা পুলিশের সহায়তায় যৌথ উদ্যোগে আওয়ামী লীগের নেতা মনজুর শাফি চৌধুরীন মালিকানাদিন আবাসিক হোটেল শেরাটনে অভিযান পরিচালনা করি। সেখান থেকে প্রায় ৪০ কেজি গাঁজা, ৫০ বোতল দেশি- বিদেশি অবৈধ মদ, ৪০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩৫ কেজি কোকেনসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ তিনজন হোটেলের কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা আবাসিক হোটেলের আড়ালে মাদক পাচারের কথা স্বীকার করে। তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে তাৎক্ষণিক উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান মনছুর আহমেদ ও আওয়ামীলীগ নেতা মনজুর শাফি চৌধুরীর বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ দেশের বাইরে ছিলেন।উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের বাসা তল্লাশি করে ৬০০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট, ২০ বোতল অবৈধ মদ, ৩৩ রাউন্ড গুলি, ১টি বিদেশি পিস্তল ও বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আওয়ামিলীগ নেতা মনজুর শাফি চৌধুরীর বাসা থেকে ৩০০ পিচ ইয়াবা , দেশি বিদেশি মদ এবং ৩ টি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এসময় তাদের সহযোগি আরো ৫জনকে আটক করা হয়।

ওসি বেলায়েত হোসেন জানান, পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মামলা কার্যক্রম পরে তাদেরকে কোর্টে চালান করা হবে। তিনি জানান তাদেরকে রিমান্ডে পাঠালে মাদক সংশ্লিষ্টতার গডফাদারসহ আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।